জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যাদবপুর গ্রামের একমাত্র হেরিং(ইটের) রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগের শেষ নেই। পশ্চিম পাড়া রাস্তাটিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বর্ষাকালের এই সময়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো কাদা ও ময়লা পানিতে ডুবে যায়। এতে গ্রামের মানুষের চলাচলের যানবাহন, রোগী পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা-ভ্যান, নসিমন-করিমন, অটোবাইক, মটরসাইকেল-বাইসাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
স্কুল-কলেজ যখন খোলা ছিল, তখন বর্ষার এই সময় প্রতিদিন কৃষক,ব্যবসায়ী,এনজিও কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাদা-পানিতে পড়ে পোশাক ভিজিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এতে বর্ষার সময়ে শিক্ষার্থীরা কাদা-পানির ভয়ে নিয়মিত স্কুল যেতে চায় না। কৃষক মাঠের ফসল ঘরে বা হাটে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে।
সরেজমিনে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখাযায়, অসংখ্য স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দ। এসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যোগাযোগকারী রাস্তায় যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপশি পথচারীদের চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনায় পতিত হলেও কতৃপক্ষ উদাসীন। যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, এ রাস্তাটিই গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা। রাস্তাটি হলে এ গ্রামের মানুষের কষ্ট দূর হবে। শিক্ষার্থীদের এবং এ গ্রামের মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন গ্রামবাসী।